Saturday, 4 October 2025

এলার্জি রোগের করণীয়তা — সহজ ও কার্যকর টিপস

এলার্জি রোগের করণীয়তা

লেখক: মো: রোমান আহ্মেদ  |  প্রকাশিত:

এলার্জি থেকে রক্ষা - নাক-মুখে মাস্ক ও হাত মুছছেন একজন মানুষ

এলার্জি হলো শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার এমন একটি অপ্রয়োজিত প্রতিক্রিয়া, যেখানে সাধারণত নির্দোষ কোনো বস্তুর বিরুদ্ধে (যেমন ধুলো, ফুলের রেণু, কিছু খাবার ইত্যাদি) অতি-সংবেদনশীলতা দেখা দেয়। এলার্জি নিয়ন্ত্রণযোগ্য — নিচে সহজ ও ব্যবহারযোগ্য করণীয়গুলো দিচ্ছি।

এলার্জির সাধারণ লক্ষণ

  • ঘন ঘন হাঁচি বা নাক বন্ধ হওয়া
  • চোখ চুলকানো বা লাল হয়ে যাওয়া
  • ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি
  • কাশি বা শ্বাসকষ্ট (গুরুতর ক্ষেত্রে জরুরি যোগাযোগ প্রয়োজন)

এলার্জি হলে করণীয় (প্র্যাকটিক্যাল গাইড)

১. কারণ চিহ্নিত করুন

প্রথমে বোঝার চেষ্টা করুন কোন জিনিসে আপনার এলার্জি হচ্ছে — ধুলোবালি, ফুলের রেণু (pollen), পশুর লোম, কোনো নির্দিষ্ট খাবার বা পারফিউম/কসমেটিকস ইত্যাদি। কারণ জানলে নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হয়।

২. এলার্জির উৎস থেকে দূরে থাকুন

যে জিনিসে এলার্জি তা এড়িয়ে চলুন — উদাহরণস্বরূপ:

  • ধুলোবালি: নিয়মিত ঘর পরিস্কার, মশার জাল/কভার ধুয়ে ব্যবহার, কার্পেট কম ব্যবহার
  • ফুলের রেণু: বসন্তে বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার বা খোলা জানালা কম রাখা
  • খাবার এলার্জি: সমস্যাযুক্ত খাবার সম্পূর্ণ পরিহার করুন

৩. পরিচ্ছন্নতা এবং ঘর-ব্যবস্থাপনা

বিছানার চাদর এবং বালিশ কাভার প্রতি সপ্তাহে ধুয়ে ফেলুন। পালতু পশু থাকলে তাদের নিয়মিত ব্রাশ ও স্নান করান এবং পশুর ঘর আলাদা রাখুন।

৪. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

অ্যান্টিহিস্টামিন বা অন্য ওষুধ নিজে নিজে না খেয়ে প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অনেক ক্ষেত্রে ত্বক বা রক্ত পরীক্ষা করে নির্দিষ্ট এলার্জেন শনাক্ত করা যায়।

৫. জীবনযাত্রায় পরিবর্তন

  • প্রচুর ফল ও শাকসবজি খান — ভিটামিন-সমৃদ্ধ সমর্থন শরীরকে মজবুত রাখে।
  • প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান ও পর্যাপ্ত ঘুম রাখুন।
  • স্ট্রেস কমান — মানসিক চাপ অনেক সময় এলার্জি বাড়িয়ে দেয়।

৬. জরুরী অবস্থায় করণীয়

শ্বাসকষ্ট, মুখ/ঘাড় ফুলে আসা বা চিৎকার-ধরনের গুরুতর প্রতিক্রিয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ হাসপাতালে যান বা জরুরি সেবা (ambulance) ডাকুন।

নোট: নিজে থেকেই কোনো কর্টিকোস্টেরয়েড বা শক্তিশালী ইনজেকশন গ্রহণ করবেন না — ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন।

অবশেষে

এলার্জি পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সবসময় সম্ভব নাও হতে পারে, কিন্তু সচেতনতা ও উপরে দেওয়া করণীয়গুলো মেনে চললে তা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করালে দীর্ঘমেয়াদে জীবনবোধ অনেক উন্নত হবে।

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home